বিবাহের চুক্তিনামা নিচে দেয়া আছে
কাবিননামা
[মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ এর বিধি ২৮(১) (ক)
১. ওয়ার্ড, শহর, ইউনিয়ন, তহশিল, থানা ও জেলার নাম যেখানে বিবাহকার্য নিস্পন্ন হইয়াছে।
উত্তর: বাংলাদেশের যে জায়গায় বিবাহ নিবন্ধন করবেন সেই জায়গায় নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
২. নিজ নিজ বাসস্থানসহ বর ও তাহার পিতা এবং মাতার নাম:
উত্তর: বরের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
৩. বরের বয়স :
উত্তর: বরের বয়স লিখতে হবে.
জেনে রাখা প্রয়োজন:
পুরুষ: ২২ বছর এবং মহিলাঃ ১৮ বছর। উল্লেখিত বয়স প্রাপ্ত বয়স। প্রাপ্ত বয়স হলে বিবাহ চুক্তি করতে পারে।
বিবাহের চুক্তিতে বয়স প্রমাণস্বরূপ জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্র, জাতীয় পাসপোর্ট, শিক্ষাগত সনদ থাকতে হবে।
মামলা হতে পারে:
এই বয়সের নিচে বা মিথ্যা বয়স লিখে বিবাহ চুক্তি করলে অপহরণ, ফুসলিয়ে বিবাহ, ধর্ষণ অভিযোগে মামলা হতে পারে।
৪. নিজ নিজ বাসস্থানসহ কন্যা ও তাহার পিতা এবং মাতার নাম:
উত্তর: কন্যা বা মহিলার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
৫. কন্যা অবিবাহিত, কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা নারী কিনা।
উত্তর: ক) ১ম বিবাহ হলে অবিবাহিত লিখবেন।
খ) বিধবা হলে বিধবা লিখবেন
গ) তালাক হলে তালাকপ্রাপ্ত
জেনে রাখা প্রয়োজন:
তালাক প্রাপ্ত হলে অবশ্যই তালাকের কাগজ যাচাই বাছাই করে নিবেন সঠিক কিনা।
মামলা হতে পারে:
ক) কার্যকরী তালাক বা তালাক যদি সঠিক না হয় তাহলে ১ম স্বামী আদালতে ঐ স্ত্রী এবং তাঁর ২য় স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের অভিযোগে মামলা হতে পারে।
খ) কাবিননামায় পূর্বের বিবাহ গোপন রেখে পরের বিবাহ করেন বা মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে ঐ স্ত্রী বা নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা প্রতারণা মামলা হতে পারে।
গ) তালাক প্রাপ্ত গোপন রেখে কুমারী বা ১ম বিবাহ লিখলে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে প্রতারণা মামলা হতে পারে।
৬. কন্যার বয়স.
উত্তর: কন্যা বয়স লিখতে হবে.
জেনে রাখা প্রয়োজন:
পুরুষ: ২২ বছর এবং মহিলাঃ ১৮ বছর। উল্লেখিত বয়স প্রাপ্ত বয়স। প্রাপ্ত বয়স হলে বিবাহ চুক্তি করতে পারে।
বিবাহের চুক্তিতে বয়স প্রমাণস্বরূপ জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্র, জাতীয় পাসপোর্ট, শিক্ষাগত সনদ থাকতে হবে।
মামলা হতে পারে:
এই বয়সের নিচে বা মিথ্যা বয়স লিখে বিবাহ চুক্তি করলে অপহরণ, ফুসলিয়ে বিবাহ, ধর্ষণ অভিযোগে মামলা হতে পারে।
৭. কন্যা কর্তৃক উকিল নিযুক্ত হইলে ঐ উকিলের নাম এবং তাহার পিতার নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা:
উত্তর: কন্যা উকিল থাকলে উকিলের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
৮. পিতার নাম, বাসস্থান ও কন্যার সহিত সম্পর্কের বর্ণনাসহ কন্যার উকিল নিয়োগের ব্যাপারে সাক্ষীদের নাম:
উত্তর: উকিল থাকলে তাঁর সাক্ষী নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
৯. বর কর্তৃক উকিল নিযুক্ত হইলে ঐ উকিলের নাম এবং তাহার পিতা ও মাতার নামসহ বাসস্থানের ঠিকানা:
উত্তর: বরের উকিল থাকলে উকিলের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
১০. পিতা এবং মাতার নাম ও বাসস্থানসহ বরের উকিল নিয়োগের ব্যাপারে সাক্ষীদের নাম:
১) উত্তর: বরের উকিল নিয়োগ দিলে তাঁর সাক্ষীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
২)
১১. বিবাহের সাক্ষীদের নাম, তাহাদের পিতা এবং মাতার নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা:
১)
২)
উত্তর: বিবাহের সাক্ষীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
১২. যে তারিখে বিবাহের কথাবার্তা ঠিক হইয়াছিল সেই তারিখ:
উত্তর: যে তারিখে বিবাহ ঠিক হয়েছে সেই তারিখ লিখতে হবে.
১৩. দেন মোহরের পরিমান:
উত্তর: মোট দেন মোহর লিখতে হবে. ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মাত্র
১৪. দেন মোহরের কি পরিমান মুয়াজ্জল এবং কি পরিমান মু'অজ্জল:
উত্তর: নগদ ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা মাত্র)
বাঁকি ২,৪০,০০০/- (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা মাত্র)
জেনে রাখা প্রয়োজন:
মুয়াজ্জল ও মু'অজ্জল দুটি আরবি শব্দ।
মুয়াজ্জল অর্থ নগদ বা তাৎক্ষণিক দেনমোহর (এটি বিয়ের আসরেই পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক)।
মু'অজ্জল অর্থ বাঁকি বা বকেয়া বা বিলম্বিত দেন মোহর (এটি তালাক হলে অথবা স্বামী মৃতের পর পাওনায় পরিণত হয়.
১৫. বিবাহের সময় দেন মোহরের কোন অংশ পরিশোধ করা হইয়াছে কি না? যদি হইয়া থাকে তবে উহার পরিমান কত:
উত্তর: ক) ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র) পরিশোধ ।
খ) ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা মাত্র) পরিশোধ ।
গ) না.
জেনে রাখা প্রয়োজন:
ক) মোট দেনমোহর বিয়ের আসরেই পরিশোধ করে দিলে অংকে ও কথায় মোট দেনমোহর লিখে পরিশোধ কথাটি লিখবেন।
খ) মুয়াজ্জল বা নগদ অংশ পরিশোধ করে দিলে অংকে ও কথায় লিখে পরিশোধ কথাটি লিখবেন।
গ) মুয়াজ্জল বা নগদ অংশ এবং মু'অজ্জল বা বাঁকি অংশ কোনোটাই পরিশোধ না করলে না লিখে লিখবেন।
মামলা হতে পারে:
তালাক কার্যকর হলে স্ত্রী দেনমোহর মামলা করতে পারে।
তালাক না হলে বা বিবাহ বহাল থাকাবস্থায় মুয়াজ্জল বা নগদ অংশ বিয়ের আসরে পরিশোধ না করলে মামলা করতে পারে।
১৬. বিশেষ বিবরণ ও পক্ষগণের মধ্যে চুক্তিসূত্রে নির্ণীত মূল্যসহ কোনো সম্পত্তি সম্পূর্ণ দেন মোহর বা উহার অংশ বিশেষের পরিবর্তে প্রদত্ত হইয়াছে কিনা?
উত্তর: দেনমোহর বাবদ কোন সম্পত্তি দেয়ার চুক্তি হলে তার বিবরণ লিখতে হবে.
১৭. বিশেষ শর্তাদি থাকিলে তাহা:
উত্তর: কোন শর্ত থাকলে লিখবেন।
১৮. স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করিয়াছে কি না? করিয়া থাকিলে কি কি শর্তে?
উত্তর: হ্যা অথবা না
জেনে রাখা প্রয়োজন:
১। হ্যা লিখে দিলে
১. কাবিননামায় প্রাপ্ত তালাক ক্ষমতা বা স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিলে ২. খোলা তালাক ৩. মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯। এই ৩টি তালাক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে ঐ স্ত্রী তালাকের সুপার পাওয়ার বা সর্বশক্তি পেয়ে যান ফলে শরীয়ত ও আইনগত কোন শর্ত দিলেও কাজ হয় না.
স্ত্রী এরূপ তালাক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে সংসার করতে না চাইলে
মামলা হতে পারে
ক) স্বামী সহ স্বামীর মা, বাবা, ভাই, বোন দের জড়িয়ে মিথ্যা নির্যাতনের অভিযোগে অধিক সংখ্যক মামলা দিয়ে হয়রানী ও সর্বশান্ত করে তালাক দিতে পারে।
খ) স্বামীর অনুপস্থিতে স্বামীর অর্থ সম্পদ চুরি করে পালিয়ে গিয়ে তালাক দিতে পারে।
২। না লিখে দিলে
স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা না দিলে ঐ স্ত্রী তালাকের সুপার পাওয়ার বা সর্বশক্তি থাকবেনা ফলে ঐ স্ত্রী সংসার করতে না চাইলে
২টি উপায়ে তালাক নিতে বাধ্য হবেন
ক) স্ত্রী স্বামীকে আপোষ মীমাংসায় রাজি করে খোলা তালাক নিতে বাধ্য হবেন। (খোলা তালাকে পূর্ণ দেনমোহর /আংশিক দেনমোহর ত্যাগ করে অথবা কোন কিছুর বিনিময়ে বা শুধুমাত্র জায়নামাজ তসবিহ এর বিনিময়ে হয়)
খ) স্ত্রীকে আদালতে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯ এ বর্ণিত এক বা একাধিক কারণে মামলা করে আদালতে কারণগুলি প্রমাণিত হয়ে তালাকের ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে তারপর স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হবেন।
বি:দ্রঃ স্বামী বিবাদী হিসাবে আদালতে কারণগুলি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা লড়াই করতে পারবেন।
১৯. স্বামীর তালাক প্রদানের কোন প্রকারে খর্ব হইয়াছে কি না?
উত্তর: না .
২০. বিবাহের সময় দেন মোহর, খোরপোষ, ইত্যাদি সম্পর্কে কোনো দলিল করা হইয়াছে কি না? যদি হইয়া থাকে উহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
উত্তর: ক) ভদ্রাচিত ভাবে খোরপোষ দিবে। (স্বামীর সাথে বা বাড়িতে বসবাস করে সংসার করার সময়)
খ) আলাদাভাবে অন্যত্র / স্ত্রীর পিতার বাড়িতে বসবাস করে খোরপোষ দিবে।
২১. বরের কোন স্ত্রী বর্তমানে আছে কি না এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিসী কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?
উত্তর: ক) প্রথম অংশে না (১ম বিবাহ হলে) ২য় বা বহুবিবাহ হলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী থাকলে হা এবং স্ত্রী না থাকলে না।
খ) দ্বিতীয় অংশে হ্যা (সালিসি কাউন্সিলের অনুমতি থাকলে) না (সালিসি কাউন্সিলের অনুমতি থাকলে) এটি একাধিক বা বহুবিবাহের ক্ষেত্রে।
জেনে রাখা প্রয়োজন:
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ধারা ৬ বহুবিবাহ (যা বলা হয়েছে)
কোন ব্যক্তির বিবাহ বলবৎ থাকিতে সে সালিসি কাউন্সিলের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতীত অন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইতে পারিবে না বা ঐরূপ অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠিত কোন বিবাহ ১৯৭৪ সনের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিট্রিকরণ) আইন এর অধীনে রেজিস্ট্রিকৃত হইবে না.
ভয়ঙ্কর বা আশ্চযজনক বিষয়
১ম স্ত্রী দেনমোহর দাবিতে মামলায় আদালতে মামলা শেষে তালাক না হলে বা বিবাহ বহাল থাকাবস্থায় আদালত স্বামী স্ত্রী মধ্যকার সম্পর্ক বা ব্যবহার ভাল না থাকার কারণে মামলাটি স্ত্রীর বিপক্ষে চলে গেলে বা ঐ স্ত্রীকে স্বামীর সঙ্গে না দিয়ে বা স্ত্রীকে স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে না দিয়ে স্ত্রীকে আলাদা করে দেন. এক্ষেত্রে কিছু বলা নাই.
স্বামী কাহারো অনুমতি ছাড়া একাধিক বা বহুবিবাহ করতে পারবেন। স্বামী স্ত্রী সম্মতিতে বিবাহগুলি আইনের অস্পষ্টতার কারণে বিবাহ রেজিস্ট্রি না হবার ফলে আদালতে মামলা হলে বিবাহগুলি নিষিদ্ধ বা বাতিল বিবাহ বলে রায় দেন না বরং বৈধ বিবাহ হিসাবে স্বীকৃতি দেন. লিখতে হবে.
২২. অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য সালিসী কাউন্সিলের নিকট হইতে বরের নিকট প্রেরিত অনুমতি পত্রের নম্বর ও তারিখ:
উত্তর: বর বা পুরুষের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
২৩. যে ব্যক্তির দ্বারা বিবাহ পড়ান হইয়াছে তাহার নাম এবং তাহার পিতা ও মাতার নাম:
উত্তর: বর বা পুরুষের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
২৪. বিবাহ রেজিস্ট্রি করার তারিখ :
উত্তর: বর বা পুরুষের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
২৫. পরিশোধিত রেজিস্ট্রি ফিস:
উত্তর: বর বা পুরুষের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা লিখতে হবে.
স্বাক্ষর
Av‡jvPbv
Av‡jvPbv
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন